মহিমান্বিত রজনী পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
লাইলাতুল কদ
রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস মাহে রমজান। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে এবারের রমজানের ২০ দিন। তবে রমজানের শেষের ১০ দিনের বেজোড় রাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। শেষ দশকের যেকোনো এক বিজোড় রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে এই বিজোড় রাতে শবে কদরের সন্ধানও করতে বলা হয়েছে।
হজরত সালমান ফারসি রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, মাহে রমজান এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
পবিত্র লাইলাতুল কদরের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিবস-রজনী, মাস-বছর সবই আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। তারপরও এসবের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। বিশেষ করে লাইলাতুল কদর অনন্য ও অনুপম মর্যাদার অধিকারী। এ রাত প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পৃথক একটি সূরা নাজিল করেন।
সৃষ্টির শুরু থেকে আল্লাহর নির্ধারিত প্রতি বছরে ১২ মাসের মধ্যে পবিত্র রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- ‘আমি এ কুরআনকে নাজিল করেছি কদরের রাত্রিতে; কদরের রাত্রি সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা কদর : ১-৩)
ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগার্ম্ভীর্যে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। মধ্যরাতেও রাজধানীসহ সারাদেশের প্রায় প্রতিটি মসজিদেই নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত আর তসবিহ পাঠে মশগুল ছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শনিবার (১ জুন) দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে